যোগ্যতা: কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাফিক্স ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা কিংবা ফাইন আর্টসে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী কর্মী চেয়ে থাকেন। তবে ডিগ্রি কোন ব্যাপারই নয়, যদি আপনি কাজটি ভালোভাবে জানেন এবং সৃজনশীল হয়ে থাকেন।
সুবিধা: আঁকা ঝোঁকাতে ঝোক বেশি! ক্রিয়েটিভ কিছু করতে মন চায়? সময় পেলেই কম্পিউটারের পেইন্ট টুলস, গাছ, পাখি, ফুল, বা ছবি নিয়ে কাজ শুরু করে দেন? তাহলে ভেবে চিন্তে নেমে পড়ুন গ্রাফিক্স ডিজাইনে।
https://youtu.be/XxHAiReY7ow
আয়: বেতন মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা
সাজেশন: কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাফিক্স ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা কিংবা ফাইন আর্টসে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী কর্মী চেয়ে থাকেন। তবে ডিগ্রি কোন ব্যাপারই নয়, যদি আপনি কাজটি ভালোভাবে জানেন এবং সৃজনশীল হয়ে থাকেন।
আঁকা ঝোঁকাতে ঝোক বেশি! ক্রিয়েটিভ কিছু করতে মন চায়? সময় পেলেই কম্পিউটারের পেইন্ট টুলস, গাছ, পাখি, ফুল, বা ছবি নিয়ে কাজ শুরু করে দেন? তাহলে ভেবে চিন্তে নেমে পড়ুন গ্রাফিক্স ডিজাইনে। অন্যান্য চাকরির থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশাটি সবচেয়ে নিরাপদ, ঝামেলা বিহীন ও ক্রিয়েটিভ। নিরাপদ ও ঝামেলাবিহীন বলার কারণ হলো অন্যান্য সব পেশার বিপরীতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কোনো কাজের অভাব হয় না। এটা একটি সন্মানজনক পেশাও বটে ।
গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় পেশা। এ কাজটি একই সাথে আনন্দদায়ক এবং সৃজনশীল। যদি আপনার মাঝে ক্রিয়েটিভিটি থাকে আর স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন নিজেকে। বিশাল কর্মক্ষেত্র আর তুমুল চাহিদা থাকার কারণে একজন প্রফেশনাল গ্রাফিক ডিজাইনারের সফলতা অনেক বেশি। গ্রাফিক্স ডিজাইনে আউটসোর্সিং বা প্রোডাক্ট বেইজড কাজ করতে হলে আপনাকে আন্তর্জাতিক মানের গ্রফিক্স এর কাজ শিখতে হবে| নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের ডিজাইনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘ পথ, জানতে হবে নিত্য-নতুন কলা-কৌশল।
আমরা টেলিভিশন কিংবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যে মজার মজার কার্টুন কিংবা অ্যানিমেশন দেখে থাকি এই কার্টুন আর অ্যানিমেশন তৈরির কাজ কারা করে বলতে পারেন? একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার! তিনি গল্প, চরিত্র এবং তাঁর প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে ক্যারেক্টার তৈরি করেন। এরপর এই ক্যারেক্টারগুলোকে বিভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে জীবন্ত করে ফুটিয়ে তোলা হয়, সেখানে যুক্ত হয় বিভিন্ন শব্দ, মিউজিক এবং ইফেক্ট।
একটি ব্র্যান্ডের প্রমোশনাল কাজের জন্য যত ডিজাইনের প্রয়োজন পড়ে তা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারই করেন। এক্ষেত্রে তাঁকে টার্গেটেড অডিয়েন্স, প্রতিষ্ঠানের কাজ এবং নামের উপর ভিত্তি করে ব্র্যান্ডের রং নির্বাচন, নির্দিষ্ট কালার স্কিম ডেভেলপমেন্ট, মাস্কট তৈরি এবং কর্পোরেট আইডেনটিটি ডিজাইনের কাজ করতে হয়। এছাড়াও উক্ত কোম্পানির প্রচারণার জন্য যত ধরণের ডিজাইনের প্রয়োজন হয় তাও একজন ব্র্যান্ড ডিজাইনার করে থাকেন। বর্তমানে মাঝারি মানের প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বড় প্রতিষ্ঠান, সর্বত্রই ব্র্যান্ড ডিজাইনারের চাহিদা রয়েছে। আর ডেডিকেটেড ব্র্যান্ড ডিজাইনার নিয়োগ দেয়াও এখন কর্পোরেট সংস্কৃতিতে পরিণত হচ্ছে। দিন দিন তাই এ ক্ষেত্রে বাড়ছে কাজের সুযোগ।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য অন্যতম কাজের ক্ষেত্র ওয়েবসাইট ডিজাইন। লোকাল মার্কেট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেটাই বলি না কেন প্রতিনিয়ত ওয়েব ডিজাইনের কাজের পরিমান বাড়ছেই। তাই ওয়েবসাইট ডিজাইন করেও আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনার পেশাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন নির্দিষ্ট লক্ষ্যে।
কিছু সাইট আছে যেখানে আপনি ডিজাইন টেমপ্লেট বিক্রি করতে পারবেন। নিজের তৈরি ডিজাইন বিক্রি করে তৈরি করতে পারেন অনলাইন সাইটগুলোতে। এছারা অনলাইন মার্কেটপেলেস গুলোতে কাজ করতে পারবেন।
লোগো ডিজাইন, ব্রোসিয়ার ডিজাইন, প্যাথ করা সহ হরেক রকম কাজ করে আয় করতে পাবেন মাসে ১৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা মূল বিষয় না। তবে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাফিক্স ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা কিংবা ফাইন আর্টসে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী কর্মী চেয়ে থাকেন। তবে ডিগ্রি কোন ব্যাপারই নয়, যদি আপনি কাজটি ভালোভাবে জানেন এবং সৃজনশীল হয়ে থাকেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হওয়ার জন্য কম্পিউটারে গ্রাফিক্স এবং ডিজাইন সফটওয়্যারগুলোর ব্যবহার জানতে হবে, শুরুতেই আপনাকে শিখে নিতে হবে ফটোসপ এবং ইলাছটেটর। দক্ষতা, ক্রিয়েটিভ ভিশন এবং কমিউনিকেশন স্কিল ভালো করতে হবে তাই আর দেরি নয় এই পেসাটা যদি আপনার ভাল লেগে থাকে আজি শুরু করে দিন কাজ করা ও হ্যা আগে কিন্তু কাজটি ভালভাবে শিখতে হবে এবং কাজটি আপনাকে পারতেও হবে। কারন যিনি আপনাকে টাকা দেবেন তিনি আপনার কাজ দেখেই দেবেন তাই শুধু কর্মী নয় পেশাদার কর্মী হন।