Career suggestion

অটোক্যাড । AutoCAD । ক্যারিয়ার সাজেশন

যোগ্যতা: সিভিল ইঞ্জিয়ারিং সুবিধা: অটোক্যাড সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক ও মেকানিক্যাল ডিজাইন করা যায়।  সিভিল কন্সট্রাকশনসহ বিভিন্ন ডিজাইনে সঠিক পরিমাপ দেয়ার ক্ষেত্রে অটোক্যাডের তুলনা নেই। আয়: ১ থেকে ৫ লাখ টাকা সাজেশন: আমাদের দেশে কাজের পাশাপাশি অটোক্যাডের মাধ্যমে বহির্বিশ্বেও ইঞ্জিনিয়ার ও ডিজাইনারদের রয়েছে কাজের অনেক  সুযোগ ।

সময়ের সঙ্গে বাড়ছে চাকরি বাজারের প্রতিযোগিতা।  পড়াশোনা শেষ করার পরও মিলছে না চাকরি নামের সোনার হরিণের দেখা।  এই চিত্রের বিপরীতে অনেকে আবার পড়ালেখার পাশাপাশি ভালো বেতনের পার্টটাইম চাকরিও করছেন।  এ জন্য প্রয়োজন হয় আলাদা কিছু যোগ্যতার।  দরকার হয় আলাদা কিছু কোর্স করার।  তাদের জন্য একটি কোর্স অটোকেড।  সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং তথা বিল্ডিংয়ের ডিজাইন কম্পিউটারে ভিজ্যুয়াল করা যায় অটোক্যাড দিয়ে।  সারা বিশ্বে বর্তমানে বড় বড় স্থাপনার ডিজাইন প্রথমে কম্পিউটারের অটোক্যাডের মাধ্যমে করা হয় এবং ওই অনুযায়ী স্থাপত্য নির্মাণ করা হয়।  নকশা ও প্রকৌশলের  ক্ষেত্রে যে কোনো ছোট-বড় নিখুঁত বিষয় অটোক্যাড এর মাধ্যমে যাচাই করে নেওয়া হয় ফলে সময়, শ্রম ও অর্থের সাশ্রয় হয় বলেই সারাবিশ্বে এর চাহিদা বেড়েই চলছে।

অটোক্যাড অপারেটর বহুজাতিক ব্যবসা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য ডিজাইনের জন্য এর কদর রয়েছে।  এ ছাড়া রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, আর্কিটেকচার ফার্ম, এড ফার্ম, ডিজাইন হাউস, ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল ডিজাইন ফার্মে কেড অপারেটরের চাহিদা।   পাশাপাশি আজকাল বিভিন্ন শপ ও মলে অটোক্যাডের কাজের ক্ষেত্র বৃদ্ধি পাচ্ছে।  প্রতিষ্ঠিত ডিজাইন হাউসে কেড অপারেটর ও ডিজাইন পরামর্শকের কদর রয়েছে, এমনকি ব্যক্তিগত পর্যায়ে ফার্ম খুলে স্বাধীনভাবে ডিজাইনসহ বিভিন্ন সেবা দিতে পারেন।  তাছাড়া বিভিন্ন অনলাইন আর্নিং সাইট তো আছেই, যেখানে একজন কেড ডিজাইনার তার সৃষ্টিশীলতা দিয়ে প্রতি মাসে আয় করতে পারেন ১ থেকে ৫ লাখ টাকা মানে কাড়ি কাড়ি টাকা।

অটোক্যাড একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন প্রোগ্রামের নাম।  অটোক্যাড সফটওয়্যারটি অত্যন্ত বন্ধুত্বসুলভ একটি সফটওয়্যার এবং এটি জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ C++ দিয়ে তৈরি।   যার সহায়তায় ডিজাইনার ও ইঞ্জিনিয়াররা সহজেই দ্বিমাত্রিক (2D) এবং ত্রিমাত্রিক (3D) ডিজাইন তৈরি করতে পারে এবং যে কোনো যন্ত্রের পার্টস ডিজাইন করতে পারে।  বর্তমানে স্থাপত্য প্রকৌশল শিল্প ও ইঞ্জিনিয়ারিং  কাজের ক্ষেত্রে অটোক্যড  গুরুত্বপূর্ন স্থান করে নিয়েছে।

ইঞ্জিনিয়ারিং কাজের ক্ষেত্রে ডিজাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা খুবই  গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সত্যিকারের স্থাপনা বা যন্ত্রপাতির দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা বাস্তবে অনেক ব্যায়বহুল ।  যা অটোক্যাড ব্যবহার করে নিমীষেই সমাধান করা সম্ভব।  ফলে সহজেই একজন ডিজাইনার তার ডিজাইনের বিভিন্ন অংশ পরিবর্তন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পরেন।

ডিজিটাল ফরম্যাটে ডিজাইনকৃত মডেল সংরক্ষণ করে একাধিক ইঞ্জিনিয়ার একটি ডিজাইনের ওপর কাজ করতে পারে, ডিজাইনটিকে পরিপূর্ণ করতে পারে এবং  অন্য যে কোনো ব্যক্তির কাছেও সহজেই তা পাঠাতে পারে।  নিজেদের সুবিধার জন্যই প্রকৌশলী ও ডিজাইনারদের অটোক্যাড শেখা প্রয়োজন।  আমাদের দেশে কাজের পাশাপাশি অটোক্যাডের মাধ্যমে বহির্বিশ্বেও ইঞ্জিনিয়ার ও ডিজাইনারদের রয়েছে কাজের অনেক  সুযোগ।

What's your reaction?

Excited
0
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0

You may also like

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Career suggestion

ডিজিটাল মার্কেটিং Digital marketing। ক্যারিয়ার সাজেশন

যোগ্যতা: তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহ, জানতে হবে ডেটা অ্যানালাইসিস, ইংরেজি ও ইন্টারনেট। সুবিধা: প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বিজ্ঞাপনী ...