একজন ফ্রিল্যান্সার বা নগর সাংবাদিক হিসেবে আপনার মাধ্যমটা হবে কি ? দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন ব্লগ, ভিডিও ব্লগ, ইউটিউব, আর্টিকেল রাইটিং, বেতার বা মোবাইল সাংবাদিকতা। এই মাধ্যমগুলোতে আপনার কাজ করার সুযোগ বা সুবিধা নিয়ে আমাদের এই লেশনটি।
হাতে একটি স্মার্টফোন বা ক্যামেরা এবং নিজের ইচ্ছা থাকলেই, সিটিজেন জার্নালিস্ট হওয়া যায়। অনেকেরই প্রশ্ন একটি সংবাদ তৈরি করার পর, তা কোথায় প্রকাশ করবো, কিভাব করবো। একটু লক্ষ্য করে দেখুন, সংবাদপত্র,টেলিভিশন চ্যানেলের বাইরে প্রতিদিন ফেইসবুক, ইউটিউব, এবং বিভিন্ন অনলাইন ব্লগ থেকে আমরা কত সংবাদ পাই। আমাদের মতই কেউ কেউ এসব প্রকাশ করছে। কত নতুন বিষয় উঠে এসেছেন এই ডিজিটাল মাধ্যম থেকে। আরো একটি বিষয় মাথায় নিয়ে নিন, মুল ধারার গন মাধ্যম মানে আমাদের দেশের টিভি চ্যানেলগুলো কিন্তু এখন ডিজিটাল মিডিয়াতে ঢুকে পড়েছে আমাদের দেশের চ্যানেলগুলো। ফেসবুক পেজ আছে, আছে ইউটিউব চ্যানেল নিউ মিডিয়াতে তারাও আস্তে আস্তে চলে আসছে তাই এই বিষয়গুলো এখন আর ফেলে দেবার নয়।
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে আপনার সামনে সব দরজাই খোলা। দরকার শুধু ইচ্ছা শক্তি এবং ইন্টারনেট কানেকশন।
প্রথমে ধরুন ফেইসবুকের কথা, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের কথা আগেই বলেছি। শুধুমাত্র ফেইসবুক লাইভের মাধ্যমেই উনি অনেক তথ্য তুলে ধরেছেন। উনার সংবাদ প্রচার হওয়ার পর তা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়াও তৈরি হয়েছে। অল্প দিনেই তিনি কিন্তু ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন। এখন বিপুল সংখ্যক লোক উনাকে ফলো করে। আপনার শুরুটাও হতে পারে ফেইসবুক দিয়ে। স্মার্টফোন দিয়ে ভিডিও করে, পরে তা আপলোড কিংবা সরাসরি ফেইসবুক লাইভ আপনিও করতে পারেনা। নাগরিক সাংবাদিকতার জন্য এটা এখন অনেক জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী মাধ্যম।
পত্রিকা বা টিভি চ্যানেল: আপনার লেখা বা ভিডিও প্রচার করার জন্য এসব মাধ্যমের উপর আপনার আস্থা না থাকলে, একজন ফ্র্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি বিভিন্ন পত্রিকা বা টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে পারেন। গুনগত মানসম্পন্ন হলে, তারা আপনার সংবাদ আপনার কাছ থেকে কিনে নিবে। যেমন ধরুন বিবিসি বাংলাদেশের ভিডিও কিভাবে পায় ??? এদেশের সব জায়গাতেতো আর তাদের প্রতিনিধি নেই। এই উত্তর হচ্ছে : বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর সব দেশের সাধারন মানুষের ভিডিও বা ছবি তারা কিনে থাকেন। এছাড়া কিছু প্রতিষ্ঠানও আছে এই ধরনের ছবি, ভিডিও এবং লেখা কেনা-বেচা করেন।
অনলাইন ব্লগ: একটা সময় ছিল তখন সংবাদ পত্রই ছিল একমাত্র সংবাদ প্রচার বা সংগ্রহের মাধ্যম। এখন সময়টি পাল্টে যাচ্ছে নিউ মিডিয়ার প্রভাব এলোমেলো করে দিয়েছে প্রচার মাধ্যমের সব রাস্তা। তাই এখনকার সময় আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল ডিভাইজগুলো মাথায় রেখে এগুতে হবে। অনলাইনে একটি ব্লগ তৈরি করেও তো আপনি লিখতে পারেন। বা অন্যের ব্লগে আপনি লিখতে পারেন । দেশে বা দেশের বাইরে বাংলায় বা ইংরেজিতে। সেখানে লেখার পাশাপাশি স্টিল ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড করারও সুযোগ রয়েছে। আয়ের সাথে সাথে আপনি পেতে পারেন দেশি বা বিদেশি পুরস্কার।
ইউটিউব: এ অবস্থায় ইউটিউব ব্যবহার করে না এমন লোক খুজে পাওয়া মুশকিল। প্রতিদিন ইউটিউবে কতরকম ভিডিও, কত রকম সংবাদই তো আমরা দেখছি। সুতরাং আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল হতে পারে, আপনার তথ্য প্রচারের মাধ্যম। এবং একটা সময় আপনি ভালো ইনকামও করতে পারেন এই মাধ্যম থেকে। আমাদের দেশের অনেক সাংবাদিক এখন ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন এবং বেশ ভালো রেসপন্স পাচ্ছেন । স্মার্টফোন বা একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা প্রয়োজন হবে আপনার এবং ভিডিও এডিটিং করতে একটি মোটামুটি মানের ল্যাপটপ। আপনাকে জানতে হবে কিছু ব্যাসিক ভিডিও গ্রামার। অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আপনি ভিডিও ব্লগে কাজ করতে পারেন ।
যেমন: প্রতিদিনের সংবাদ, শিক্ষা, পর্যটন, কৃষি, প্রযুক্তি ইত্যাদী।