যোগ্যতা: তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহ, জানতে হবে ডেটা অ্যানালাইসিস, ইংরেজি ও ইন্টারনেট। সুবিধা: প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে চাকরি করার বড় সুযোগ রয়েছে। আয়: শুরুতেই ১০ থেকে ৬০ হাজারে। সাজেশন: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সবচাইতে বেশি মানুষের কাছে পণ্যের প্রচার করা যায় এমনকি বয়স পেশা বা ঠিকানা নির্দিষ্ট করেও আপনি র্মাকেটিং করতে পারবেন
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচারকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বোঝায়। আর ইন্টারনেট ডিজিটাল মার্কেটিং এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। এছাড়া অন্যান্য মাধ্যমগুলো যেমনঃ টেক্সট মেসেজিং, মোবাইল ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড, টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল ইত্যাদিও এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কেটিং হচ্ছে যে কোন পণ্য অথবা সার্ভিস এর প্রচার প্রচারনা এবং ওই পণ্যের ক্রেতা তৈরি করা। ঠিক এই জিনিসটিই ডিজিটাল ডিভাইজের মাধ্যমে করলে সেটাকে বলা হয় “ডিজিটাল মার্কেটিং” বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
বর্তমানে বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। রেডিও, টিভি কিংবা সংবাদপত্রের জায়গা দখল করে নিচ্ছে অনলাইন রেডিও, ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো। আর তাই মার্কেটিংয়ের ধরনেও এসেছে পরিবর্তন। বিপুল সংখ্যক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীর কাছে বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে তুলে ধরার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নিচ্ছে।
মূলত এ খাতে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য সবার আগে প্রয়োজন হবে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহ। যেহেতু পুরো কাজটিই হয়ে থাকে তথ্যপ্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে। এ ছাড়া তার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। এর মধ্যে আছে—মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কিছু বিষয়, ওয়েব ভিত্তিক বিভিন্ন তথ্য বুঝার ক্ষমতা । এর পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হতে গেলে যেসব যোগ্যতা দরকার, তার মধ্যে অন্যতম হলো ডেটা অ্যানালাইসিস বা তথ্য বিশ্লেষণ। একটি প্রতিষ্ঠানের কোনো পণ্য বাজারজাত করার ক্ষেত্রে সেই বাজারের সার্বিক অবস্থা, একই ধরনের অন্যান্য পণ্যের হালচাল এবং পণ্যটির জনপ্রিয়তা কেমন, এ সব কিছুই আমলে নিতে হয়। অর্থাৎ সামগ্রিক ট্রেন্ড সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা এবং এর বিপরীতে নিজেদের মার্কেটিং কৌশল নির্ধারণ করাই হল ডেটা অ্যানালিস্টের কাজ।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। শুধুমাত্র ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়েই বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের মার্কেটিং করে থাকে। ফলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে ফেসবুক বিজ্ঞাপন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে। ফেসবুক বিজ্ঞাপনেও রয়েছে বিভিন্ন টুল। ইন্টারনেট ব্যবহার করে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো ইমেইল। ফলে মার্কেটিংয়ের জন্য এই পদ্ধতিটি বেশ জনপ্রিয়। এটি ডিজিটাল মার্কেটিংয়েরও অন্যতম একটি অংশ।। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে ইমেইল মার্কেটিং এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন টুলস যেমন— ফিডবার্নার, মেইলশিম্প, অ্যাওয়েবার প্রভৃতি সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ধারণা থাকা আবশ্যক। অনলাইনে কিছু খুঁজে পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন। আর তাই সার্চ রেজাল্টে নিজের ওয়েবসাইট বা পণ্যকে সবার ওপরে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয় সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং। এ জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় গুগল অ্যাডওয়ার্ড।
বিভিন্ন পণ্যের মার্কেটিংয়ের জন্য কনটেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে কনটেন্ট তৈরিতে প্রয়োজন পড়ে ছবি, ব্লগ পোস্ট, ইনফোগ্রাফিক প্রভৃতি। এসব বিষয় নিয়ে ধারণা থাকলে কাজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়। পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রেও কনটেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আপনি আপনার ব্যবসার জন্য বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করতে পারেন এবং এর মধ্যে থেকে আপনাকে বেছে নিতে হবে কোন কৌশলটি ব্যবহার করলে বেশি লাভবান হবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং একটি গতিশীল মাধ্যম এবং আপনি সবসময় আপানার কাজের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনি আপনার গ্রাহকদের চেনেন এটাই যথেষ্ট নয়। কোম্পানীর পণ্যের প্রসারের জন্য আমরা বিভিন্নভাবে মার্কেটিং করি যেমনঃ লিফলেট, পোস্টার ইত্যাদি। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সবচাইতে বেশি মানুষের কাছে পণ্যের প্রচার করা যায় এমনকি বয়স পেশা বা ঠিকানা নির্দিষ্ট করেও আপনি র্মাকেটিং করতে পারবেন এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়েই সবচাইতে বেশি ব্যবসায়িক সফলতা পাবেন। তাই আগামী দিনটা যেহেতু ডিজিটাল সময়ের সাথে থাকুন। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিতে পারেন , গড়ে নিতে পারেন আপনার ভবিষ্যৎ