যোগ্যতা: যারা ভাল ছবি আকেন বা গান করে বা যে কোন সৃস্টিশীল কাজ করতে পারেন তাদের জন্যই ইউটিউব। এক কথায় এমন কিছু বানাতো হবে যা মানুষ দেখবেন। আয়: বাংলা কন্টেন্টের আয় খুবই কম তবে, ভাল কন্টেন্ট হলে আয় আস্তে আস্ত আয় বাড়বে, ব্র্যান্ডের পণ্যের ফিচার ভিডিও তৈরি করে আপনি আয় করতে পারেন সাজেশন: শুরুতেই অনেক টাকা খরচ করবেন না। অল্প খরচে কিছু ভিডিও বানান রেসপন্স দেখুন তারপর এগোবেন ।
আসেপাশে ইউটিউবার শব্দটি ইদানিং বেশ খেয়াল করা যায়। ইউটিউবার কারা? তাদের কাজ কি? প্রথম ভিডিও আপলোড করেন মার্কিন নাগরিক রোমান অ্যাটউড। তিন মিনিটের সে ভিডিওর নাম দিয়েছিলেন এপিক কুলার প্র্যাঙ্ক। রাস্তা দিয়ে কেউ হয়তো হেঁটে যাচ্ছে, এক বন্ধুর সাহায্যে বড় একটা খালি পাত্র নিয়ে তাদের দিকে ধেয়ে সে। এমন ভাব নিলেন যেন পথিকের মাথায় পানি ঢেলে দেবেন। আসলে দেখা গেল সে পাত্র খালি, আর ব্যাপারটা শুধুই মজা করার জন্য করা হয়েছে। তার আরেক বন্ধু পুরোটাই ক্যামেরার পেছনে থেকে ভিডিও করেন। এবং সেই ভিডিওটাই হয়ে গেল এপিক কুলার প্র্যাঙ্ক। এ ভিডিওটি এযাবৎ দেখা হয়েছে ৬২ লাখ ৯৫ হাজার বারের বেশি। রোমান অ্যাটউডের নিজ নামের চ্যানেলে এমন আরও ১৩১টি ভিডিও আছে। এই ভিডিওগুলোই তাঁর আয়ের উৎস। পরিমাণটা কত জানেন?…. ২০১৬ সালে ইউটিউব থেকেই এক বছরে তাঁর আয় প্রায় ৮০ লাখ ডলার।
নানান পেশার মানুষদের ইউটিউবার হিসেবে দেখা যায়। কেউ কমেডিয়ান, কেউ গায়ক, কেউ রাঁধুনি, কেউ আবার গেমার। প্রায় সবাই নিজের শখ কিংবা আগ্রহের কাজটিকেই ইউটিউবে ভিডিও শেয়ার করেন। এতে একদিকে যেমন জনপ্রিয়তা মিলছে, তেমনি টাকাও আয় হচ্ছে।
আপনার আগ্রহের কোন চমকানো কাজ থাকলে, ঘরে বসেই ইউটিউবের জন্য ভিডিও তৈরি করতে পারেন। মোটামুটি মানের একটি স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপে আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই শুরু করে দিতে পারেন ইউটিউবের জন্য ভিডিও তৈরি। প্রথম দিকে দর্শক টানতে একটু কষ্টই করতে হবে। কিন্তু মনে রাখবেন, কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের এই যুগে আপনার ভিডিওতে কনটেন্ট থাকলে, ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বাড়তে থাকবেই।
সাধারণত গড়ে ১০ হাজার ভিউ থাকলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি গুগলের এডসেন্স মনিটাইজেশন এ্যকটিভ করতে পারবেন। এছাড়াও অন্য কোন ব্র্যান্ডের বা পণ্যকে ভিত্তি করে ফিচার ভিডিও তৈরি করেও আপনি আয় করতে পারেন। তাছাড়া আপনার বানানো ফিচার ভিডিওগুলো দারুণ হলে আপনি বড় বড় ব্র্যান্ডের ইউটিউব অ্যাম্বাসেডর হয়ে বাড়তি অর্থ আয় করতে পারবেন।
কয়টা কথা আগেই মাথায় দিয়ে দেই । বাংলাদেশে ভিউ হলে আপনার আয় হবে অনেক কম আর সেই একই কন্টেন্ট যদি ইউরোপ বা আমেরিকায় ভিউ হয় তাহলে আপনার আয় হবে অনেক বেশী । ঠিক সেই ভাষার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। তাই আগে টার্গেট পিপল সেলেক্ট করে নিন। আপনার সাবজেক্টের সাথে মিল রেখে চ্যানেলটির নাম নির্ধারন করুন। আর হ্যা খুব সাবধান !!! ইউটিউবের সব আইন মেনেই আপনাকে কাজ করতে হবে। ইউটিউবে কোন ঝামেলা করার সুযোগ নেই।