ছবির ফরম্যাট
ডিজিটাল ক্যামেরায় অনেক ফরম্যাটে ছবি তোলা যায়। নিচে কয়েকটি ফরম্যাট সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
#JPEG: সাধারনত সব ক্যামেরায় ডিফল্ট ফরম্যাট হিশাবে JPEG ব্যাবহার করা হয়। এর উদ্ভাবক কোম্পানি Joint Photographic Experts Group এর নাম অনুশারে এর নামকরন করা হয়। এই ফরম্যাতে আপনি ইমেজ সাইজ নিরধারন করে দিতে পারবেন। যখন ছবি তলা হয় তখন ক্যামেরার মধ্যে থাকা একটি চিপস ক্যামেরা সেটিংস অনুযাই ছবির সাইজ ছোট করে ফেলে। এর ফলে ছবির মধ্যে যে পরিবর্তন হয় তা পরে থিক করা যায়না। ছবির কিছু মূল তথ্য চিরতরে মুছে যায়।
#RAW: এই ফরম্যাটটি অনেক ক্যামেরাই দেখা যায়, বিশেষ কোরে এসেলার ক্যামেরায়। ডিজিটাল ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে ছবি তোলা এবং এডিটিং করা দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। Raw ফরম্যাটের ক্ষেত্রে ছবির সকল ডাটা সেভ হয়ে যায়। ফলে এডিটিঙের ক্ষেত্রে পুর্ন সহযোগিতা পাওয়া যায় ছবি থেকে। মূল ছবি থেকে ইচ্ছে মত পরিবর্তন করে বা ডাটা বাদ দিয়ে পছন্দমত এডিট করা যায়। যখন আপনি ক্যামেরা সেটিংসের উপর পুর্ন নিওন্ত্রন রাখতে ছান এটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল ফরম্যাট। কারন এর উপর কেবল চারটি জিনিস প্রভাব বিস্তার করতে পারে; এক্সপসার, শাটার স্পিড, আইএসও এবং ফোকাস। অন্য সেটিংস গুলো কেবল ক্যামেরায় দেখার ক্ষেত্রে ছবিতে আফেক্ট করে। মূল ফাইলে করেনা।
ক্যামেরা কোম্পানিগুলো অনেক RAW ফরম্যাট বাজারে এনেছে, এবং প্রতিনিওত আসছে। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন নামের RAW ফরম্যাট আনছে। বর্তমানে প্রায় ১৪০ ধরনের RAW ফরম্যাট আছে। এবং এই সংখ্যা প্রতিনিওতই বারছে। নিচে কয়েকটি কম্পানির RAW ফরম্যাটের নাম দেয়া হল।
• Nikon – NEF
• Olympas – ORF
• Fuji – RAF
• Sony – SRF
• Canon – CR2
• Pentax – PEF
• Genaric – DNG
#DNG: RAW ফরম্যাটের বিভিন্নতার জন্য সব সফটওয়্যার থেকে এগুল ওপেন করা যায়না। এই সমস্যার সমাধানের জন্য অ্যাডোব DNG নামে একটি নতুন ফরম্যাট বাজারে আনে। ফটোশপ থেকে যেকোনো RAW ফাইল DNG তে কনভার্ট করে নেয়া যাবে। ফলে অন্য কার সাথে ছবি শেয়ারিং এবং ভবিষ্যতে ক্যামেরার সফটওয়্যার না থাকলেও ছবি ওপেন করার পুর্ন নিশ্চয়তা থাকবে।
#TIFF: এই ফরম্যাটটি সাধারনত কম্পিউটার এবং আপ্লিকেশনের মধ্যে ছবি আদান প্রদানের ক্ষেত্রে বেবহ্রিত হয়। সকল পেইন্ট, ইমেজ এডিটিং এবং পেজ লেয়াউট সফটওয়্যার এটি সাপোর্ট করে। এই ফরমেটের ছবি JPEG এবং RAW থেকে বর হয় এবং কেবল ৮ বা ১৬ বিট পার কালারে সেভ করা যায়।