শর্ট ফিল্মের শট ডিভিশন নিয়ে যত কথা Easy Cinematic Short Film Visual Storytelling
শুটিং স্ক্রিপ্ট লেখার অপর নাম শট ডিভিশন। একজন পরিচালক কিভাবে স্ক্রিপ্টে থাকা শটগুলোকে কল্পনার চোখে দেখেন, তার আলোকে শুটিং স্ক্রিপ্ট করে থাকেন। দু’ধরনের পয়েন্ট অব ভিউ শট মাথায় রেখে শুটিং স্ক্রিপ্ট করতে হয়। একটি হলো ডিরেক্টরস পয়েন্ট অব ভিউ আর অন্যটি ক্যারেক্টার পয়েন্ট অব ভিউ। ক্যারেক্টার পয়েন্ট অব ভিউ শট বাদে বাকি সব শটই ডিরেক্টরস পয়েন্ট অব ভিউ শট। পয়েন্ট অব ভিউ শট বলতে আমরা ক্যারেক্টারস পয়েন্ট অব ভিউ শটকেই বুঝি। অনেক পরিচালক মূল স্ক্রিপ্টে আঁকাআঁকি করে শট ডিভিশন করে থাকেন। এর মাধ্যমে শুটিং করার আগেই শটগুলো কল্পনায় চোখের সামনে দেখাতে পাওয়া যায়। মাথায় রাখতে হবে গল্পটি বলার সময় কোন ছবিটি আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। লেখক তার লেখনীতে যে ভাবে গল্প বলেন, একজন পরিচালক ক্যামেরার মাধ্যমে তা দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন।
চরিত্রের চলাফেরা দেখানোর জন্য লং শট এবং আবেগ দেখানোর জন্য কোজ আপ ব্যবহার করা হয়। আবেগ যত বেশি হয়, ক্যামেরা তত চরিত্রের কাছে যায়। সংলাপ থাকলে সংলাপের মাঝখানে অপর চরিত্রের রি-একশন শট দেখাতে হয়। সুতরাং সংলাপ শুট করার সময় অবশ্যই শ্রোতার রি-এ্কশন শটও টেক করতে হয়। পরে সম্পাদনার সময় পাশাপাশি বসিয়ে আবেগময় দৃশ্য তৈরি করা হয়। শট নেয়ার সময় আপনার সামনে থাকা মনিটরে বিশেষভাবে চোখ রাখুন। হেডরুম, লুক রুম বা লিড রুম মাপ মতো রাখুন। রুল অব থার্ড ফলো করুন। কোন কারণ ছাড়া এই নিয়ম ভাঙ্গবেন না। লাইটিং ঠিক আছে কিনা দেখে নিন। প্রথমে লং শটগুলো টেক করুন। তারপর মিড শট, সবশেষে কোজ আপ। সংলাপ বা আলাপচারিতার কোজ আপ শট দু’ভাবে গ্রহণ করা হয়। একটা হল পয়েন্ট অব ভিউ অব ক্যারেক্টার এবং অপরটি ওভার দ্যা সোল্ডার। দু’ভাবেই শট নিয়ে রাখুন। তবে প্রতি বারই এক জোড়া করে শট নিয়ে রাখবেন এবং এই এক জোড়া শটের কম্পোজিশন একই রকম হবে। সম্পাদনার সময় এগুলো ঠিক করা হয়। ১৮০ ডিগ্রি রুল অনুসরণ করুন। (১৮০ ডিগ্রি রুল নিয়ে পরে আলোচনা করবো।)