ফটোগ্রাফিতে বিভিন্ন ভুল ফটোগ্রাফিই একটি অংশ। মাঝে মাঝে ভুল থেকেই বেরিয়ে আসে দারুন কিছু। ভুলগুলো ভালো এতে ফটোগ্রাফার হতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমাদের মধ্যে কয়জনই বা বাইরে ছবি তোলার পর ঘরের ভেতরে ছবি তোলার পর লাইটিং এর সেটিং বদল করি? জানার পরও আমরা এই ভুল বারবারই করি। তারপর জিবে একটি কামর এছাড়া আরো অনেক ভুলই আছে যেগুলো শোধরাতে অনেক সময় লেগে যায়।
১. ক্যামেরার পেছনে থাকা
ছবি তোলার সময় শুধুমাত্র ক্যামেরার পেছনে থাকলেই চলবে না। যার ছবি তোলা হচ্ছে তার সাথে কথা বলে ছবির মূল ভাবনাটা তার ভেতর ফুটিয়ে তুলতে হবে।
২.শাটার স্পিড ব্যবহার করে ফ্লাস এক্সপোজ করা
এটা নতুন ফটোগ্রাফারদের জন্য সাধারণ ভুল। ফটো তোলার সময় ফ্লাসের ব্রাইটনেসের উপর সাটার স্পিড কখনো অ্যাফেক্ট করেনা। পপ-আপ ফ্লাসের সময় সাটার স্পিড থাকে বেশি।
০৩. গিয়ারের উপর বেশি ফোকাস করা
আমরা সবাই কমবেশি একই ভুল করি। আমি বিশ্বাস করি, কম আলোর সাথে যন্ত্রপাতির ব্যবহার আমাকে ভালো ফটোগ্রাফার হতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে সতর্ক করে রুমের লাইট বদলের ক্ষেত্রে।
০৪. ক্যামেরার সেটিংয়ে অতিরিক্ত মনোযোগ
যদিও এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ছবি তোলার আগে এক্সপোজার, আইএসও, সাটার স্পিড ঠিক করা। কিন্তু ক্যামেরার সেটিংয়ের দিকে যদি অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া হয় তাহলে অনেক কিছুই মিস হয়ে যাবে। আমাদের সামনে থেকে অনেক কিছুই চলে যাবে যা আমরা খেয়াল করবো না। সেটিং ঠিক করার সময় অতিরিক্ত সময় ব্যয় অনেক সময় ছবির সৃজনশীলতা নষ্ট করে ফেলে।
০৫. অতি দ্রুত কাজ করা
অনেক সময় ভিউফাইন্ডার দেখার সময় আমরা ছোটখাট ভুল খুঁজে পাওয়া সত্ত্বেও তা উপেক্ষা করে OK বলি। এটা নতুন ফটোগ্রাফারদের জন্য সাধারণ একটি ঘটনা। যখন আমি আবিষ্কার করলাম এভাবে চলতে থাকলে আমার ফটোগ্রাফিও ধীরে ধীরে উন্নত হবে। তাই ভিউফাইন্ডারে সমস্যা দেখি আগে তা সমাধানের চেষ্টা করি।
০৬.ভুল হওয়ার ভয়
জানি অনেকেই ফ্ল্যাশ কিনে থাকেন কিন্তু এটা তাদের কাছে নতুন টেকনোলজি হওয়ার ফলে তা ব্যবহার করে না। সৌভাগ্যক্রমে ক্যামেরা প্রস্তুতকারকরা Delete বাটনটি রেখেছিল! ফটো তোলার সময় নতুন কিছু করার চেষ্ঠা করো, নতুন অ্যাঙ্গেলে ছবি তোল। এটা ফটোগ্রাফি, রকেট সাইন্স নয়। প্রতিদিন ভুল করো, মজা করো। ভুল আর এক্সপেরিমেন্টের মধ্য দিয়েই ফটোগ্রাফির অনেক কিছু শেখা যাবে।
০৭. একইরকম অনেক ছবি তোলাফটো তোলার বিনিময়ে পারিশ্রমিকের আশা ফটোগ্রাফারদের সবচেয়ে বড় শত্রু। সঠিক ও সুন্দর ছবি তোলার জন্য প্রয়োজনে একশ’ ছবি তোলার মানসিকতা থাকতে হবে। অনেক ছবি তুলে সেখান থেকে ভালো ছবি বাছাই করতে হবে।
০৮. ক্যামেরার মোটর ড্রাইভিং
ক্যামেরার মোটর ড্রাইভিং যা ব্রাস্ট মোড নামেও পরিচিত। মোটর ড্রাইভিংয়ে ওয়ারেন্টির মাধ্যমে আইনসঙ্গতভাবে কিছু সময় পাওয়া। সুতরাং এ বিষয় কথা না বলাই ভালো। যাই হোক, প্রথম দর্শনে বন্দীর ওপরই নির্ভর করে মোটর ড্রাইভিং। অর্থাৎ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে সাবজেক্টের গুরুত্ব বুঝে ফটোগ্রাফার হিসেবে নিজের দক্ষতা উন্নয়ন করা।
০৯. কাছের ছবি তোলার জন্যও জুম ল্যান্স ব্যবহার
অনেক সময় কাছের ছবি তোলার জন্যও আমরা জুম ল্যান্স ব্যবহার করি। জুমিং ও মুভিং ইন ক্লোজার দুইটা আলাদা বিষয়। মনে রাখতে হবে, যখন লেন্সের মাধ্রমে ছবির বিষয়বস্তু কাছে আনা হচ্ছে একইসঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডটাও কাছে আসছে। এর ফলে ছবির স্পেস অনেক কমে যাবে অথবা আরো বেশি ক্রাউডেড হবে। জুমিং এর বিপরীত হলো জুম আউট। ‘রিয়েল অ্যাস্টেট ফটোগ্রাফার’ শর্ট ফোকাল লেন্থ ব্যবহার করে (যা রুমকে বড় দেখায়)।
উপরের ডিজাইনগুলো কাজের সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। এগুলো থেকে নতুন কোনো নকশা তালিকা গঠন করার পদ্ধতি আবিষ্কার করা যাবে। যা আমাদের কাজের চিন্তাধারা বা ধারণার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে। কেউ যদি এ উদাহরণগুলো নিয়ে গবেষণা করে তাহলে Graphic Design Resource Sheets থেকে অন্য চিহ্ন পাবে যা বিনামুল্যে ব্যবহার করা যায়। আর এটা আপনাদেরকে গ্রাফিক্সের ব্যাপারে নতুন কিছু আবিস্কার করতে সাহায্য করবে।