Types of Camera Lenses লেন্সের প্রকারভেদ
লেন্সের ফোকাল দৈর্ঘ্য এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন designations আছে। সাধারনত বলা হয় wide field এর লেন্স বেশি গভীরত্ব প্রকাশ করে অন্যদিকে সংকীর্ণ লেন্স কম গভীরত্ব প্রকাশ করে। ফোকাল দৈর্ঘ্য পরিবরতনের মাধ্যমে আপনি আপনার ছবিকে দিতে পারেন একটি ভিন্ন মাত্রা সেটা হোক zoom লেন্স দিয়ে অথবা prime লেন্স দিয়ে। এই সেকশনে আমারা ভিন্ন প্রকার লেন্স সন্মন্ধে জানবো এবং এর কাজ নিয়ে আলচনা করবো।
নোটঃ প্রতিটি লেন্সের কিছু মাত্রা পর্যন্ত ফোকাল দৈর্ঘ্য আছে (e.g. 50-100mm)। যদি আপনার একটি ভাল মানের DSLRক্যামেরা থেকে থাকে যার ভেতর APS-C sensor আছে। APS-C sensors ফোকাল দৈর্ঘ্যকে প্রায় 1.6 বার magnify করে। এর মানে হোল 50mm লেন্স তখন 80mm লেন্স হয়ে যায়। এটা খুবি গুরুত্বপূর্ণ তার কারন হোল লেন্সের magnification একে এক ক্যাটাগরি থেকে অন্য ক্যাটাগরিতে নিতে সাহায্য করে। তাই ক্যামেরা কেনার সময় এটি মাথায় রাখবেন।
ফিশআই (12mm বা কম) ফিশআই হোল বিস্তৃত লেন্স যা আপনি কিনতে পারেন। উপরের ছবিটি দেখুন কখনো কখনো এতে আপনার ছবি বৃত্তের মত দেখায় এবং আপনার ক্যামেরা তখন শুধু লেন্স ব্যারেলের ভেতরের অংশটি ক্যাপচার করে। ফিশআই লেন্স তখনই ব্যাবহার করা হয় যখন আপনি আপনার ছবিতে প্রায় সবকিছুই ক্যাপচার করতে চান। ফিশআই ফটোতে লক্ষ্য করলে আপনি বিভিন্ন পশু , মানুষের মজার চেহারা দেখতে পাবেন। অবশ্যই, ছোট স্থানে আরো বাস্তবিক ফোটোগ্রাফির ব্যবহারসমূহের জন্য বা আপনার ছবিতে একটি নির্দিষ্ট অর্থ তৈরিতে বাস্তবতা বিকৃত করার জন্য এটি করা হয়।
Wide Angle (18-30mm) ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স ফিশআই এর মতই একটি অতিরঞ্জিত গভীরতা তৈরি করে, কিন্তু একটু অপেক্ষাকৃত কম ব্যাপ্তিতে। আপনি যদি কেমেরাতে বেশিকিছু ক্যাপচার করতে চান তবে আপনাকে ওয়াইড এঙ্গেলে যেতে হবে। ওয়াইড এঙ্গেল কিছু বিকৃতি ঘটাতে পারে। For example, যেমন একটি ফ্রেমের ভেতরে আপনি যদি মাটিতে পড়ে থাকা কোন মইয়ের ফটোগ্রাফি করতে চান তবে ছবিটি বাঁকা হয়ে উঠবে। যদিও কিছু কিছু দামী wide angle লেন্স এই সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম এবং আপনি ফটোশপের মতো এডিটিং সফটওয়্যারের মাধ্যমেও ঠিক করে নিতে পারেন। আপনি যদি একটি ওয়াইড এঙ্গেল লেন্স ব্যবহার, মনে রাখবেন যে শুধু ইমেজ বিকৃত হবে এবং আপনি আপনার সুবিধাজনক এটি ব্যবহার করতে পারেন যাতে গভীরতার অতিরঞ্জিত করা হবে।
Standard (35-85mm) স্ট্যান্ডার্ড লেন্স হচ্ছে আয়না যা মানুষ সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে চোখে সূচিত করে। আপনি যদি আপনার ছবি প্রাকৃতিক চেহারা দিতে চান, তাহলে স্ট্যান্ডার্ড লেন্স সবচেয়ে ভাল উপায়। একটি 50mm লেন্সকে সাধারণত নিকটস্থভাবে মানুষের চোখের দেখার সাথে তুলনা করা হয়, যদিও অনেকে মনে করেন লেন্স এই কাজতি করে। তথাপি, উভয়ই সুন্দর এবং সুদর্শন প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফ উত্পাদন করে। উপরন্তু, 35mm, 50mm এবং 85mm লেন্স সাধারণ ফোকাল লেন্থ যা কিনা সস্তা প্রাইম লেন্স জন্য হয়। এটা একটি চওড়া এবং সর্বোচ্চ অ্যাপাচারের লেন্স পেতে সাহায্য করে তাও আবার অনেক টাকা ব্যয় না করেই। আপনি যদি পোর্ট্রেট অথবা প্রাকৃতিক কোন ছবি কাছ থেকে তুলতে চান তবে 50mm এর লেন্স ব্যাবহার করাটাই উত্তম। অনেকই পোর্ট্রেটের জন্য 85mm পছন্দ করে থাকেন, তবে এটা ছবির গভীরতাকে ফ্ল্যাট করে দেয়। তথাপি সবার পছন্দের মাঝে একটি স্ট্যান্ডার্ড লেন্স থাকা আবশ্যক। যেসব লেন্স স্পেশাল ফিচার অফার করে না সেসব লেন্স ছবি তোলার জন্য সঠিক না।
টেলিফোটো (100-300mm) যখন আপনার খুব কাছ থেকে ছবি তোলা প্রয়োজন কিন্তু আপনার পক্ষে তা সম্ভব নয় তহন আপনার প্রয়োজন টেলিফোটো লেন্স। যখন কোনোরকম নড়াচড়া ছাড়া আপনার সাবজেক্টের কাছে গিয়ে ছবি তোলার সুযোগ থাকে তখন আবার টেলিফোটো লেন্স ভাল কাজ করে না। ধরে নিন আপনি রাস্তায় চলাচলকারী দুই প্রান্ত থেকে হেতে আসা দুই ব্যক্তির ছবি তুলবেন, সেক্ষেত্রে টেলিফোটো লেন্স ব্যাবহার করলে আপনি ভাল ফলাফল পাবেন। ছতি দেখলে তখন মনে হবে যে দুইজন ব্যক্তি একে অপরের খুব কাছাকাছি। ফ্ল্যাট ছবি স্থান খুব একটা খারাপ জিনিস না, কিন্তু এটি আপনি ব্যবহার করার আগে বিবেচনা করে নিতে পারেন, তাই টেলিফোটো লেন্স ব্যাবহারের পূর্বে এটির কারণ জানা গুরুত্বপূর্ণ। যম্নতি আপনি উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে কি সুন্দরভাবে টেলিফোটো লেন্স দূরে থাকা সত্ত্বেও সাবজেক্টকে তার ব্যাকগ্রাউনড থেকে আলাদা করেছে। আপনি যদি টেলিফোটো লেন্স ব্যাবহার করতে চান তাহলে একটু দাম দিয়েই না হয় কিনুন এবং খেয়াল রাখবেন যেন এতে অপটিক্যাল অপটিক্যাল স্থিতিশীলতা থাকে। ছোট ছোট মুভমেন্ট হতে শুরু করে সবকিছুই টেলিফোটো লেন্সে ম্যাগ্নিফাই হয়। তাই আপনার ক্যামেরা যদি স্থিতিশীল না থাকে তবে আপনার ক্যামেরায় অনেক অবাঞ্ছিত ব্লার মোশন ধরা পড়বে। আর তাছারা আপনি সরাক্ষন ট্রাইপড নিয়ে ঘুরতে পারবেন না। স্টেবিলাইজার আপনার ছবিকে নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
সুপার টেলিফোটো (300mm বা একাধিক) সুপার টেলিফোটো লেন্স দিয়ে চাঁদের ছবি shoot করা যায়। যখন আপনি অতি দূরের কোন জিনিষের ছবি তুলতে চাইবেন তখন এধরনের লেন্সের প্রয়োজন। সাধারন টেলিফোটো লেন্সের মতো সুপার টেলিফোটো লেন্সের একই অনুকূল প্রতিকূল আছে কিন্তু এর মাত্রাটা একটু বেশি। আপনি যদি দূরত্বটা ভালভাবে বুঝতে পারেন তবে ভাল ফলাফল পাবেন। আপনার সাবজেক্ট ঠিক রেখে ব্যাকগ্রাউন্ডকে পুরোপুরি ব্লার করে ফেলবে। এতে করে আপনি ইমেজের মধ্যে সুন্দর সিলেক্টিভ ফোকাস অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
লেন্সের বিশেষ ধরণ: কিছু লেন্স অতিরিক্ত আকর্ষণীয় প্রভাব তৈরি করতে পারে যা তাদের ফোকাল দৈর্ঘ্য এর উপরে সেট থাকে। ম্যাক্রো লেন্স আপনার দূরের সাবজেক্টকে অবিশ্বাস্য রকম কাছে টেনে নিয়ে আসে যা খালি চোখে সম্ভব না। T ilt-Shift লেন্স বেছে বেছে ছবির নির্দিষ্ট জায়গায় ফোকাস করে এবং একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ আবহ তৈরি করে। এই দুটো জিনিস খুবই জনপ্রিয়, কিন্তু আপনি আরো অনেক কিছু পাবেন যদি অনুসন্ধান শুরু করেন।
পেশাল লেন্স অনেক মজার হতে পারে, কিন্তু আপনি যেহেতু মাত্র নতুন নতুন শুরু করেছেন তাই এসবকিছু এড়ানোই ভালো। এগুলো শুধু আপনার খরচই বাড়াবে না তার সাথে অনেক জটিলতাও সৃষ্টি করবে। লেন্স কিনতে হলে বেসিক লেন্সই কিনুন। যখন আপনি বেসিকে পারদর্শী হয়ে উঠবেন তখনই স্পেশাল ফিচারের লেন্স ব্যাবহার করতে পারবেন।