রং এর পরিভাষা
আমাদের যদি পরিপূর্ণ রং এর পরিভাষা জানা থাকে তাহলে কিভাবে কোন রঙ কোথায় ব্যবহার করবো তা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এটি আমাদের শব্দাবলীকে খুব সহজেই কোনো চিত্র বা ডিজাইনে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
যোজনীয় ও হ্রাসমূলক
যোজনীর রঙ রঙ্গীন আলোর সংমিশ্রণে তৈরি হয়ে থাকে। টেলিভিশনের স্ক্রিনের রঙ একটি ভালো উদাহরণ হতে পারে। যোজনীর প্রাথমিক রঙগুলো হলো লাল, সবুজ এবং নীল।
রঙের বর্ণচ্ছটা
বর্ণচ্ছটা বলতে বোঝায় প্রাকৃতিক অনুক্রমে সাজানো রঙধনুর মতো একটি সাদৃশ্য। এর রঙগুলো হলো: লাল, কমলা, হলুদ, সবুজ, নীল, বেগুনী এবং বেগনী নীলবর্ণ।
রঙের বিন্যাস
রঙের বিন্যাস বলতে মূলত একটি বৃত্তাকার আদেশ বোঝায়। আর এই বৃত্তটি আমাদের প্রাথমিক, গৌণ ও তৃতীয় রঙের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে সাহায্য করে।
প্রাথমিক রঙ
লাল, হলুদ এবং নীল হলো প্রাথমিক রঙ। এই তিনটিই মৌলিক রঙ, যা ব্যবহার করে আমরা রঙের বিন্যাস ঘটাতে পারি। এ রঙগুলোর সংমিশ্রণে আরো রঙ তৈরি করা যায়, যেমন: নীল ও হলুদের মিশ্রণে তৈরি হয় সবুজ।
গৌণ রঙ
কমলা, সবুজ এবং বেগুনী এ তিনটিহলো গৌণ রঙ। এগুলো দুইটি মৌলিক রঙের মিশ্রণে তৈরি হয়। যেমন: লাল ও নীল দিয়ে তৈরি হয় বেগুনী।
তৃতীয় রঙ
তৃতীয় রঙের বিষয়টি খুব সূক্ষ্ম ও কৌশলের বিষয়। এটি প্রাথমিক ও গৌণ রঙের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়।
অনুরূপ রঙ
অনুরূপ রঙ দ্বারা বোঝায় নিকটস্থ দুটি রঙের মিশ্রণ। যেমন: লাল বেগুনী ও বেগুনী দিয়ে গাঢ় বেগুনী রঙ তৈরি হবে।
বিপরীত ও সম্পূরক রঙ
বিপরীত রঙের মিশ্রণেও ভিন্ন একটি রঙ তৈরি করা সম্ভব। দুটি মৌলিক অথবা দুটি গৌণ রঙ দ্বারা নতুন একটি রঙ তৈরি করা যায়। যেমন: লাল ও সবুজ অথবা নীল ও কমলার মিশ্রণে নতুন রঙ বানানো সম্ভব।
অর্নব নাসির ছাত্রী (ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়)