কখনো কখনো সফলতা খ্যাতির পাশাপাশি বিড়ম্বনাও বয়ে আনে। এমনই হয়েছে লন্ডনের বিখ্যাত হিথ্রো বিমানবন্দরের। দিনের পর দিন যাত্রী সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেকথা বিবেচনায় এনে ব্যস্ততম এই বিমানবন্দরের সীমান বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কিন্তু এর আশপাশে গড়ে উঠা বহুতল ভবন ও মার্কেটের কারণে তা আর সম্ভব হয়ে উঠছে না।
আর তা বিবেচনায় এনে থামেস এস্টুয়ারি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী (টেসরাড)দিয়েছে নতুন বিমানবন্দরে নকশা। আর এটি হবে লন্ডনে অবস্থিত কৃত্রিম দ্বীপ বোরিসে—নাম লন্ডন ব্রিটানিয়া বিমানবন্দর। প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী এই বিমানবন্দরের থাকবে ৬ টি রানওয়ে। প্রতিটি রানওয়ে থাকবে দ্বীপের আশপাশে এস্টুয়ারির অগভীর ভূমিতে। টেসরাডের দেওয়া তথ্য মতে, প্রতিটি রানওয়ে তৈরিতে ব্যয় হবে ৪৭ বিলিয়ন পাউন্ড থেকে ৭ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন পাউন্ড। এই বিমানবন্দরটি বানাতে লাগবে ৭ বছর।
বিমানবন্দরটি পুরোপুরি নির্মাণের পর প্রতি বছর ১ শ ৭২ মিলিয়ন যাত্রীদের সেবার জন্য ২৪ ঘন্টাই সচল থাকবে। যাত্রীরা চাইলে রওনা দেওয়ার ৩০ মিনিট আগে লন্ডনের কেন্দ্রস্থল থেকে চেক ইন করতে পারবেন। এ বিমানবন্দরের সাথে ইউরোপ, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর ও লন্ডনের সাথে আকাশ পথে যোগাযোগ সহজ হয়ে উঠবে।
কম উন্নত পূর্বাঞ্চলীয় এই বরিস দ্বীপে বিমানবন্দরটি স্থাপিত হলে প্রত্যক্ষ ও পরোবক্ষভাবে ২ লাখ নুতন চাকরীর সুযোগ হবে বলে আশাবাদীয় টেসরাড।