career suggestions

গ্রাফিক ডিজাইন কি? what is graphic design

গ্রাফিক ডিজাইন করা খুবই সহজ, প্রায় সবাই এটা করতে পারেন। এমন ভাবনা রয়েছে অনেকেরই,কিন্তু কথাটা ভুল। বেশ কিছু কঠিন বিষয় আগে হাতে এবং মাথায় আনতে হবে তারপর কাজটি হয়তো সহজ হবে। তাই শুরু থেকে সবগুলো অংশকে মনোযোগ দিয়ে বুঝতে হবে। চলুন শুরু করা যাক. .

https://youtu.be/XxHAiReY7ow

গ্রাফিক ডিজাইন কি?

যদি কেউ প্রশ্ন করে “আমি কিভাবে গ্রাফিক ডিজাইন করবো?” সে আসলে জিজ্ঞাসা করছে “কিভাবে আমি লোগো ডিজাইন করব?” অথবা “কিভাবে আমি একটি ওয়েব সাইট ডিজাইন করবো?” বা “কিভাবে আমি একটা বিজনেস কার্ড ডিজাইন করতে পারি?” ওই প্রশ্নের মানে আরো অনেক রকম হতে পারে। আসুন বোঝার চেষ্টা করি।

গ্রাফিক শব্দটির অর্থ ড্রইং বা রেখা। গ্রাফিক শব্দটি সেই সব চিত্রগুলোকে বুঝায় যে চিত্রগুলোর সফল পরিসমাপ্তি ড্রইং এর উপর নির্ভরশীল। গ্রাফিক শব্দটি আলাদাভাবে বোঝার পর বুঝতে হবে ডিজাইন শব্দটির অর্থ। ডিজাইন শব্দটির অর্থ পরিকল্পনা বা নকশা।

বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইন বলতে আমরা সেই সব চিত্র কর্মকে বুঝি যা পরবর্তীতে মূলত: ছাপার জন্য তৈরি হয়ে থাকে। তবে প্রযুক্তির প্রয়োজনে গ্রাফিক ডিজাইন শুধুমাত্র ছাপার গন্ডি পেরিয়ে বহুদূর চলে যাচ্ছে। গ্রাফিক ডিজাইন এর একান্তই অন্তর্ভুক্ত বিষয় গুলি হচ্ছে – ডিজিটাল সাইন, বিজ্ঞাপন, ক্যালেন্ডার, টাইপোগ্রাফি, ব্রোশিয়োর, ওয়েব সাইট ডিজাইন ইত্যাদি ইত্যাদি।

আরো একটা শব্দের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই ডেস্কটপ পাবলিশিং। একটি কথা মনে রাখতে হবে ডেস্কটপ পাবলিশিং এবং গ্রাফিক ডিজাইন হাতে হাত রেখে চলে। সংক্ষেপে যদি বলি, ডেস্কটপ পাবলিশিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করে মুদ্রণ, ওয়েব, পুস্তিকা, বই, ব্যবসায়ীক কার্ড, ওয়েব পেজ হিসাবে মোবাইল ডিভাইসের জন্য ফরম্যাট,নথি উত্পাদন, গ্রিটিং কার্ড, ইত্যাদি তৈরি করা হয়।

*মাথায় রাখতে হবে Final Output কি?Print  না Video?

*গ্রাফিক ডিজাইন একটি শিল্প পদ্ধতি ম্যানুয়াল বা যান্ত্রিক হতে পারে।

*পূর্ব শর্ত দৃষ্টি নন্দন হতে হবে এবং এখানেই মানুষের বিচারে পার্থক্য হয়

গ্রাফিক ডিজাইন দিক নির্দেশনা

গ্রাফিক ডিজাইন কি এ ব্যপারে আপনার যদি কিছুটা ধারণা হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে যা করে এগুতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করছি।

গ্রাফিক ডিজাইন এর মূল বিষয় গুলো আরো ভাল ভাবে জানতে হবে। হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে ২ থেকে ৪ বছর বিভিন্ন কোর্স করে থাকে। আমরা এখানে তা শেখাতে পারবো না। তবে আপনি যদি বাসায় যথেস্ঠ চর্চা করেন এবং আমাদের সাথে থাকেন তাহলে ওই কোর্স এর কাছাকাছি যেতে পারবেন বলে আশা করছি।

১। শিল্প ভাবনা থাকতে হবে। আপনাকে প্রতিটা রং আলাদা আলাদাভাবে চিনতে হবে এবং কোথায় কোন রংটা ব্যবহার করা যাবে সেটা বুঝতে হবে। লাইন প্রথমেই চিনতে হবে, আঁকাবাঁকা লাইনের মাঝে সৌন্দর্য্য খুজে বের করতে হবে এবং সেগুলো ব্যবহার করতে হবে তাই পেন্সিল নিয়ে যা পারেন তাই আকতে শুরু করুন। তারপর একটু রং এর ব্যবহার করে দেখুন। এতে আপনার ভাবনার জায়গাটা বড় হবে যেটা সফটওয়্যার দিয়ে সম্ভব না। আমরা এ বিষয় নিয়েও ব্যাপক আকারে আলোচনা করবো, তবে সেটা আরো পরে।

৩। গ্রাফিক ডিজাইন এর উপাদান হচ্ছে পুরো গঠন, ব্রাশস্ট্রোক, রং, নকশা। আমরা কথা বলছি লাইন, আকার, রং, জমিন, এবং ভর বিষয়ে। আপনি যাই ডিজাইন করেন সব কিছুতেই এই উপাদানগুলো থাকবে এবং আপনি যে উপাদানগুলো ব্যবহার করেছেন সেগুলোর উপরই আপনার সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ভর করে। তবে শিল্পের খোজে এর ব্যতিক্রম হতেও পারে।

৪। গ্রাফিক ডিজাইন এর নীতি সুপারিশ করে কিভাবে একজন ডিজাইনার বিভিন্ন উপাদান দ্বারা সামগ্রিক নকশা এবং একে অপরের সাথে সংযোগ করে একটি পৃষ্ঠা বিন্যাস করতে পারে। এটা হচ্ছে কিভাবে আপনি আপনার টেক্সট লাইন আপ করবেন, আপনি মার্জিন এর জন্য কতটা স্থান ছেড়ে দিবেন, আপনি কি কি অন্তর্ভুক্ত করবেন, আপনি কি ছেড়ে দিবেন এবং আপনি এগুলো পৃষ্ঠায় কিভাবে বিন্যাস করবেন। আপনার মনমতো একটি পাতা সাজিয়ে নিন, এটাকে চমত্কার রং, ফন্ট ব্যবহার করে আরো সুন্দর করুন। তবে খুব ভাল করতে গিয়ে আবার অতিরিক্ত কিছু করে ফেলবেন না। হিজিবিজি সব সময় সবার ভাল লাগে না।

একটি বিন্যাসে কাজ করতে হলে সব অংশের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা সে বিষয়ও আলাপ করবো। আগে এগুলো মানিয়ে নিন।

গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যার বাছাই করুনঃ

বর্তমান যুগে গ্রাফিক ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহার জানা ভীষণ জরুরি। সফটওয়্যার আপনাকে দেবে: ডিজাইন কাজে স্বাচ্ছন্দ, বারবার সম্পাদনা করার সুযোগ, নিখুঁত কোয়ালিটি, ডিজাইন এর মূলনীতি মানার সুবিধা ইত্যাদি ইত্যাদি।

শুধুমাত্র মেশিনে কিভাবে সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয় তা শিখলেই আপনার চলবে না উপরন্তু সকল সুবিধা আপনাকে সফটওয়্যারটি দেবে কিনা তাও জেনে নিতে হবে। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করলে নকশার উপাদান তৈরী, মূলনীতির প্রয়োগ এবং রং এর ব্যবহার সবশেষে প্রিন্টের কি কি সুবিধা অসুবিধা রয়েছে জেনে নিন।

আপনাকে আরো বেশ কিছু বিষয় সফটওয়্যারটি কাছ থেকে বুঝে নিতে হবে যেমন:- স্টাইল শিট সেট আপ, স্বয়ংক্রিয় ফাইন টিউনিং, মাস্টার পাতায় পৃষ্ঠা সংখ্যা নির্বাচন, নির্বাচিত পাতাটি পিডিএফ হবে কিনা, ব্লেডস স্থাপন করা, ভিডিওর ক্ষেত্রে কতটা সাপোর্ট দেবে সফটওয়্যারটি।

আর একটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ন বিষয় আপনার কম্পিউটারটির কি অবস্থা ? সেটি কি এই সফটওয়্যারটির লোড নিতে পারবে ? আসা করছি আপনার কম্পিউটারটি কমপক্ষে এই

core i3 3220 processor

4 gb RAM

2 GB graphic card

1TB Hard Drive

22inch   মনিটর সমৃদ্ধ কনফিগারেশন হবে।

গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য বর্তমানে ব্যাপক দাপটের সাথে চলছে দুটি সফটওয়্যার এডোবি ফটোশপ এবং এডোবি ইলাসট্রেটর। এছাড়াও অনেক ধরনের সফটওয়্যার আপনি পেয়ে থাকবেন আইবিএম কম্পিউটারের জন্য। আর যদি ম্যাকিনটোস এর সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন তাতেও অনেক সুবিধা রয়েছে। তবে সেটা যথেষ্ঠ ব্যয়বহুল।

এডোবি ফটোশপ (রাস্টার) এবং এডোবি ইলাসট্রেটর (ভেকটর) আমরা ধীরে ধীরে শিখে নেব। এবং আমি আপনাদের অনুরোধ জানাব আপনারা প্রচুর চর্চা করবেন। আবারও বলছি আপনারা ভাবনার জায়গাটাকে অনেক মজবুত করবেন। সফটওয়্যার কিন্তু শিল্প ও আইডিয়ার কাজটি করে দেবে না।

What's your reaction?

Excited
1
Happy
0
In Love
0
Not Sure
0
Silly
0

Comments are closed.

Next Article:

0 %