ভিডিও এডিটিং করার অনেক রকম পদ্ধতি রয়েছে। এডিটিং যুগের শুরু থেকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে পদ্ধতি। যতই দিন গড়াচ্ছে আরও সহজ হয়ে আসছে এডিটিং টেকনিক্যাল পদ্ধতিগুলো। এই অংশে আমরা জানবো সেই পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে।
ফিল্ম এডিটিং :
প্রযুক্তিগত ভাবে একে ভিডিং এডিটিং বলা চলে না। একে সত্যিকার অর্থে ফিল্ম এডিটিং বলা হয়। ফিল্ম এডিটিং ছিল এডিটিং যুগের সূচনা। এই পদ্ধতিতে অনেকগুলো ফিল্মকে কেটে একসঙ্গে জোড়া দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিডিও তৈরি করা হয়। এজন্য একটি ফিল্ম কাটিং মেশিন এবং টেপ ব্যবহার করা হয়। টুকরো করা ফিল্মগুলোকে একটি মেশিনের মধ্যে একই সমান্তরালে রেখে জোড়া দেয়া হয়। আর এভাবেই শুরুটা হয়েছিল চলমান ছবির এডিটিং এর। এখন এই পদ্ধতির ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।
লিনিয়ার এডিটিং :
লিনিয়ার এডিটিং হচ্ছে টেপ থেকে টেপের মধ্যে ভিডিও রেকর্ড করার একটি পদ্ধতি। কম্পিউটার আসার আগে এভাবেই ভিডিও এডিটিং করা হত। এটি একটি সময় সাপেক্ষ পদ্বতি ছিল এডিটরদের জন্য। কিন্তু বর্তমানে এখন কিছু কিছু সময় এর প্রয়োজন পড়ে থাকে।
ডিজিটাল/ নন-লিনিয়ার মেথড :
এই পদ্ধতিতে রেকর্ড করা ভিডিও ফুটেজকে কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে ডিজিটাইজ করে নেয়া হয় এবং তারপর সফটওয়্যারের সাহায্যে তা এডিট করা হয়। এডিটং এর কাজ শেষ হবার পরে আবারও হার্ডড্রাইভ থেকে টেপের মধ্যে নেয়া হয়। তবে টেপ ছাড়াও আরো পদ্ধতিতে On air করার ব্যবস্থা রয়েছে।
লাইভ এডিটিং :
লাইভ এডিটিং সাধারণত খেলা অথবা কনসার্টের মত অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়। আমরা যে অনুষ্ঠানগুলোতে লেখা দেখতে পাই LIVE বা সরাসরি । লাইভ এডিটিং পদ্ধতিতে বিভিন্ন স্থানে রাখা ক্যামেরা থেকে ভিডিও ভিসন মিক্সার এর সাহায্যে সরাসরি এডিট করা হয়। এবং সাথে সাথেই তা উপস্থাপিত হয় । একে অনেকে On-line ভিডিও এডিটিও বলে থাকে।